মহাত্মা গান্ধির রতি ও বিরতি শিরোনামে মনোবিশেষণের প্রবর্তক সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও তদত্তসূরি জাক—লাকাঁর বিশেষণ পদ্ধতি অনুসারে গান্ধিজির তত্ত্ব ও ব্যাবহারের নতুন পর্যালোচনা করেন সলিমুলাহ খান।
জগদ্বিখ্যাত ভারতীয় সাধক মহাত্মা গান্ধি ৩৩ বছর বয়সে সিদ্ধান্ত নেন তিনি ব্রহ্মচর্যব্রত অবলম্বন করবেন। ৩৭ বছর বয়সে ১৯০৬ সালে তিনি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার উদ্যোগ নেন। ১৯৩৫ সালের দিকে অভিযোগ ওঠে গান্ধিজি ব্রহ্মচর্যব্রত ভঙ্গ করেছেন। ১৯৪৬ সালে দাঙ্গা উপদ্রুত নোয়াখালি জেলায় অবস্থানকালে ঐ অনুযোগে গান্ধিজির কয়েকজন সহকর্মী কার সঙ্গ ত্যাগ করেন। গান্ধিজি লেখেন তিনি নারীসঙ্গ বর্জন ও ব্রহ্মচর্যব্রত অবলম্বনকে সমার্থক মনে করেন না। তার মতে নারীসঙ্গ ধর্মের অঙ্গ মাত্র। গান্ধিজি দাবি করেন ব্রহ্মচর্য ও অহিংসাধর্মের মধ্যে আধ্যাতিক সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে ভারতীয় ও পশ্চিমা মনোবিজ্ঞানীদের আলোচনা মনোবিশেষণ কারখানায় পর্যালোচিত হয় সভা মিলনায়তনে।