সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক পুঁজি নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলোর; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন— বিশ্ব ব্যাংক, পি.আর.এস.পি, আই.এম.এফ, জে.বি.আই.সি’র উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ নিয়ে সমালোচনা এখন উর্ধ্বমুখী। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ঐ সক্রিয় শক্তির প্রবেশ, অনুপ্রবেশ, বিস্তার ও প্রভাব এবং জাতীয় জীবনে পুঁজির অভ্যস্ততা বিদগ্ধদের চিন্তিত করে।
এরকম একটি সময়ে জাতীয় অর্থনীতি কী হতে পারে, রাষ্ট্র ও সমাজের ভূমিকা কী থাকবে? এই চিন্তা থেকেই ‘এশীয় শিল্প সংস্কৃতি সভা’ আই.ডি.বি. ভবন মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক পুঁজির যুগে জাতীয় অর্থনীতি : রাষ্ট্র ও সমাজসভা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের বেশ কয়েকজন অগ্রজ ও তরুণ অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সচেতন মহল। সভায় সভাপতিত্ব করেন ড. আহমেদ কামাল। আরও উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক আনু মহম্মদ, কবি ও গবেষক ফরহাদ মজহার, নারী নেত্রী খুশি কবির, রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো, গবেষক সলিমুল্লাহ খান, ড. হোসেন জিলুর রহমান, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের মৌসুমী মহাপাত্র, রাশেদ তিতুমীর, জোনায়েদ সাকি, আরশাদ সিদ্দিকি ও জহিরুল ইসলাম কচি সহ অনেকে।
এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সভার পক্ষ থেকে সলিমুল্লাহ খান অর্থশাস্ত্রের নীতি প্রণেতাদের বিশেষণধমীর্ প্রসঙ্গ টেনে এনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের অবতারণা করেন। এই সময়ের মৌলিক কিছু অর্থনৈতিক নির্ভরতা ও উন্নয়ন নিয়ে, শিক্ষা—স্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন, জাতীয় আয় বৃদ্ধি, রপ্তানিমূখী শিল্প—শক্তি নিয়ে তার আলোচনা ও প্রস্তাবনা বিস্তৃত হয়েছে।